রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৫৬ অপরাহ্ন
মো: সোহরাওয়ার্দী হোসেন, ব্যুরো প্রধান রাজশাহী
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার জনগনের কাছে আনারস মার্কায় ভোট চান বীর মুক্তিযোদ্ধা রিয়াজ উদ্দিন সাহেব।
তিনি সাংবাদিক দের বলেন, গ্রামগঞ্জের অতি সাধারণ পেশাজীবি, শ্রমজীবি মানুষের কল্যাণে কাজ করার প্রত্যাশা নিয়ে এই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। আমি আমার মেধা, সততা, শ্রম দিয়ে দুর্নীতিমুক্ত থেকে সকল এলাকার মানুষের সুষম উন্নয়নের চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। আমার উদ্দেশ্য সমাজে সৎ এবং যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তোলা। আপনাদের দোয়া এবং সর্মথন পেলে অবশ্যই তা সম্ভব বলে আমি বিশ্বাস করি।
আমি ১৯৫৮ সালে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ০১ নং রতনকান্দি ইউনিয়নের চিলগাছা গ্রামের এক ধনাঢ্য কৃষক পরিবারে জন্ম গ্রহণ করি। আমি ১৯৭৫ সনে এস.এস.সি, ১৯৭৭ সনে এইচ.এস.সি, ১৯৭৯ সনে স্নাতক এবং ১৯৮২ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করি। আমি ছাত্র জীবন থেকেই ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলাম এবং ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। পড়াশোনা শেষে একজন ব্যাংকার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করি। পরবর্তীতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও আপনাদের দোয়ায় আমি একজন ১ম শ্রেণির ঠিকাদার, রিয়েল-স্টেট ব্যবসায়ী এবং গার্মেন্টস শিল্পের একজন শিল্প মালিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছি। ব্যক্তিগত জীবনে আমি চার সন্তানের জনক। আমার তিন মেয়ে চিকিৎসক এবং একমাত্র পুত্র ও পুত্রবধূ উভয়ই প্রকৌশলী। তারা প্রত্যেকেই সরকারের স্ব-স্ব ক্ষেত্রে কর্মরত। এছাড়া মৎস্য, কৃষি ও ডেইরি খাতে গুরুত্বপূন অবদান রাখায় আমি জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কার লাভ করি এবং রাজশাহী বিভাগের শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করি।
আপনারা জানেন দীর্ঘদিন আমি আমার ব্যক্তিগত উপার্জিত অর্থ দিয়ে সিরাজগঞ্জের উত্তর জনপদে অসংখ্য স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান ও মন্দিরসহ হতদরিদ্র, অসুস্থ মানুষের চিকিৎসা, দরিদ্র ছাত্র/ছাত্রীদের শিক্ষা এবং কন্যা দায়গ্রস্থ পিতাকে সহায়তা করে গ্রামের সাধারণ গরিব দুঃখী মানুষের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছি।
এছাড়া আমি ২০০২ সালে ব্যক্তিগত উদ্যেগে যমুনার প্রবল ভাঙ্গন থেকে সিরাজগঞ্জের উত্তর জনপদকে রক্ষার জন্য দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষকে সংগঠিত করে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে গান্ধাইল, রতনকান্দি, শুভগাছা ইউনিয়নের ভাঙ্গন প্রবন এলাকায় বেড়ীবাঁধ নির্মাণ করি। ফলশ্রুতিতে বর্তমানে বাঐখোলা থেকে বাংলাবাজার পর্যন্ত যমুনার বুকে বিশাল চর জেগে উঠেছে এবং ভাঙ্গন রোধ সম্ভব হয়েছে।
আমি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বপালন করা কালীন বেশকিছু উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড সম্পন্ন করেছি। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য- উপজেলা পরিষদের নিজস্ব অর্থায়নে উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে প্রায় ২৯ কিলোমিটার আরসিসি রাস্তা নির্মাণ করি। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৬০০ বাইসাইকেল বিতরণ, উঁচু-নিচু বেঞ্চ ও খেলাধূলার সামগ্রী বিতরণ করেছি। প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহে ডিজিটাল হাজিরা ও ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করি। বেকার ও দুঃস্থ নারীদের বেকারত্ব দূরী করণে সেলাই, বুটিক ও ড্রাইভিং প্রশিক্ষন প্রদান করি। শারিরীক প্রতিবন্ধী মানুষের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করি। জরুরী স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইউজিডিপি প্রকল্পের আওতায় ০১ টি এ্যাম্বুলেন্স ক্রয় করি। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওয়াশব্লক ও বিভিন্ন স্থানে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নির্মাণ করি। করোনাকালীন সময়ে ইউজিডিপি প্রকেল্পর আওতায় বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিকে আসবাবপত্র ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ এবং জনগণের মাঝে সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করি। ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব রোধে জনগণের মাঝে মশারি বিতরণ করি। গবাদি পশুর খুড়ারোগ ও এনথ্রাক্স নির্মূলে টিকা প্রদানের ব্যবস্থা করি। এছাড়াও বন্যাকালীন ত্রাণ, শীতকালে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ, এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী ও সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচীসমূহ যথাযথভাবে বাস্তবায়নের চেষ্টা করি।
আপনাদের ভালবাসার টানে সুখে দুঃখে সকলের পাশে থাকার প্রত্যাশা নিয়েই রাজধানী ছেড়ে হরিণা গ্রামে এবং পৌর এলাকায় দিয়ারধানগড়ায় আমি স্থায়ী বসত বাড়ি স্থাপন করেছি। আপনারা আমাকে পুনরায় সুযোগ দিলে আপনাদের পাশে থেকে প্রবীনের দিক-নির্দেশনামূলক পরামর্শ এবং নবীনের শক্তি নিয়ে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলাকে একটি দূর্নীতি, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত স্মার্ট উপজেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারব বলে আমি বিশ্বাস করি।
সম্মানিত সদর উপজেলাবাসী স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে প্রার্থীর অতীত কর্মকান্ড এবং ব্যক্তিগত আচার-আচরণই প্রার্থী নির্বাচনের মূলভিত্তি। তাই আমি বিনীতভাবে বলতে চাই মানুষ ভুলের উর্দ্ধে নয়, আমার চলার পথে কোন ভুলত্রুটি হলে তা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং দলমত নির্বিশেষে আমার নির্বাচনী প্রতীক আনারস মার্কায় আপনার মূল্যবান ভোট দিয়ে আমাকে আপনাদের পাশে থাকার এবং সেবা করার সুযোগ দিন।