শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
Welcome To Our Website...
সংবাদ শিরোনাম :
ফরিদপুরে ছাত্র-জনতার জুলাই-আগষ্ট গণঅভ্যুত্থানে আহতদের হেলথ কার্ড প্রদান; মোংলায় কোষ্টগার্ডের অভিযানে হরিণের মাংস জব্দ; ভান্ডারিয়ায় মনি জমাদ্দারের সভাপতির পদ অব্যহতির দাবিতে মানববন্ধন ; মোংলায় বজ্রপাতে বিএনপি নেতার মৃত্যু ; মোংলায় কোস্ট গার্ডের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা; নওগাঁতে সরকারি ও বেসরকারি হজযাত্রীদের হজ্ব বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে; পঞ্চগড়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দাবিতে গণজমায়েত ও মানববন্ধন ; মোংলায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ; নওগাঁর রাণীনগরের পাতি: উত্তরাঞ্চলের কৃষকদের ‘অসময়ের বন্ধু’; এনায়েতপুরে বিএনপির ৮ নেতা বহিষ্কার; নববর্ষ উপলক্ষ্যে বৈশাখী মেলা জমে উঠেছে উল্লাপাড়ায়; পটুয়াখালী দুমকিতে টর্নেডোর আঘাতে সড়ক তছনছ; নানান আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন নওগাঁর আত্রাইয়ে; কাউখালী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বৈশাখী শোভাযাত্রা ও বর্নাঢ্য র‍্যালীর আয়োজন; নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে মোংলায় বিএনপির আনন্দ শোভাযাত্রা; বাংলা নববর্ষে আব্দুল মালেক খান‌ ঘোল উৎসব আয়োজন করেন; খাস জমি দখলকে কেন্দ্র করে শাহজাদপুরে দু‘গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১ ; কাউখালীতে ৮০ হাজার টাকা মূল্যের অবৈধ বেড় জাল জব্দ; মোংলায় অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার; আত্রাইয়ে তিন বছরের সম্পর্ক হিন্দু শিক্ষকের সাথে মুছলিম ছাত্রীর আত্মহত্যা ;

চুনারুঘাটে সকল অপরাধের গডফাদার  বিতর্কিত  ওসি হিল্লোল রায় বদলি;

নজরুল ইসলাম; স্টাফ রিপোর্টার;

সাম্প্রতিক সময়ে চুনারুঘাট উপজেলায় বেড়েছে ধর্ষণ, মারামারি, খুন, রাহাজানি, মাদক জুয়া, চুরি, ডাকাতি সহ সব ধরণের অপরাধ। আর সকল অপরের গডফাদর ছিলেন ওসি হিল্লোল রায়। এর জন্য পুলিশ প্রশাসনের ব্যর্থতাকেই দায়ী করছেন সচেতন মহল। অনুসন্ধানে জানা যায়, অধিকাংশ অপরাধ কর্মকান্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে পারছে না পুলিশ। থানায় দায়ের করা ভুক্তভোগীদের অভিযোগকে পুঁজি করে অবৈধ ভাবে লাভবান হচ্ছেন ওসি হিল্লোল রায়।সু বিচারের সার্থে থানায় কোন মামলা দিলে ওসি হিল্লোল রায় কে মামলা প্রতি দিতে হচ্ছে ২০০০০ টাকা।টাকা না দিলে কোন মামলাই থানায় রেকর্ড হচ্ছে। মোটা অংকের টাকা দিলে অনেক মিথ্যা মামলা থানায় রেকর্ড হচ্ছে। এমন অভিযোক করছেন অনেকে। থানা রাজনৈতিক মামলা নিয়ে চুনারুঘাট থানার ওসি হিল্লোল রায় বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন আসামী কাছ থেকে।সীমান্তের মাদক চোরাচালান সহ সকল অপরাধের গডফাদার ওসি হিল্লোল রায়। চুনারুঘাট থানায়  কর্মকর্তারা সহ স্হানীয় সাংবাদিক ও তার  রশানালতে রেহাই পায় পাইনি । থানায় আগের যে কোন সময়ের তুলনায় বেড়েছে দালালদের দৌড়াত্ব। অভিযোগ রয়েছে। ওসি হিল্লোল রায় এর সহযোগীতায় অনেক রাজনৈতিক নেতার চুনারুঘাটে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে দেশ চেরে চালে যাওয়া সুযোগ পান।  চুনারুঘাটের ওসি হিল্লোল রায় এর আগে দায়িত্ব পালন করেন সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ থানায়। তখন সেখানেও গড়ে উঠেছিল দালাল সিন্ডিকেট। দালালরা অবৈধ ভাবে ভারতীয় গরু ব্যবসা, মাটি ব্যবসা ও চাপাতা ব্যবসা মাদকের ব্যবসা সহ বিভিন্ন স্থান থেকে আদায় করছে মোটা অঙ্কের মাসোহারা। খোদ থানার ওসির সাথেই নাকি রয়েছে মাদক কারবারি সহ নানান অপরাধীদের সখ্যতা। ভোক্তভোগী অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, সবকিছু ওপেন সিক্রেট হলেও তিরস্কারের পরিবর্তে ইতোপূর্বে পুরস্কৃত হয়েছেন ওসি বিতর্কিত  ওসি হিল্লোল রায়।
ব্যবসার আধিপত্য নিয়ে। ২৪ সালে হিল্লোল। চুনারুঘাটে জুয়া ও মাদক ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্ষুব্ধ চুনারুঘাটের জনপ্রতিনিধিরাও। উপজেলার সর্বত্র মাদক সেবন ও ব্যবসার প্রসার ঘটছে। মাদক সেবন ও ব্যবসা আগে কিছুটা গোপনে হলেও এখন প্রায় প্রকাশ্যেই হচ্ছে। অনেকেই এখন নতুন করে মাদকের ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছেন। এ নিয়ে সবাই ভয়ের মধ্যে আছেন। কয়েক মাস ধরে মাদকবিরোধী বড় কোন অভিযান নেই বললেই চলে। তাই মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। মাঝে মধ্যে নামমাত্র অভিযান পরিচালনা করা হয়। জানা গেছে, ওসির ঘনিষ্ট উপ-পরিদর্শক এসআই লিটন রায়ের মাধ্যমে চুনারুঘাট থানা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। সব কিছুই চলে লিটনের কথায়। অনেক সময় পরোয়ানাভুক্ত আসামীকেও অদৃশ্য কারণে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। মামলার আসামি গ্রেফতার অভিযান অভিযান নেই বললেই চলে। অনেক সময় দেখা যায়, সাধারণ অভিযোগ হলে থানায় ধরে নিয়ে নিরীহ লোকজনকে করা হয় নির্যাতন। গত ২১ মে সুন্দরপুর গ্রামের বিল্লাল নামে এক ব্যক্তিকে থানায় একদিন আটকে রেখে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। পরে ওই ব্যাক্তিকে ১৫১ ধারায় আদালতে সোপর্দ করা হয়। এমন একাধিক ঘটনা ঘটছে চুনারুঘাট থানায়। থানা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করলে আইনানুগ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না। তদন্ত পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। পুলিশ সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর ওসি হিল্লোল রায় চুনারুঘাটে যোগদান করেন। এরপর ২০২৪ সালের প্রথম দিবস শুরু হয় মার্ডার দিয়ে। রানীগাঁও ইউনিয়নের একটি ধানী জমি থেকে হারুন মিয়া (৪০) নামে এক মানবাধিকার কর্মীর গলাকাটা লাশ হত্যা উদ্ধার করা হয় সেদিন। কিন্তু এর রহস্য আজও উদঘাটন হয়নি। এরপর থেকে কয়েকটি খুন, ডাকাতি, সংঘর্ষ-মারামারিসহ শিশু ও পশু হত্যার মতো জঘন্য ঘটনা ঘটেছে চুনারুঘাটে। চারদিকে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে মাদক ব্যবসা। ১৪ জানুয়ারি উবাহাটা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এজাজ ঠাকারসহ তার ৩ ভাই’র ঘরে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়। ডাকাত বাড়ির সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ, নগদ টাকাসহ মূল্যবান সম্পদ নিয়ে যায়,
অবৈধ ভাবে কলো টাকা গড়ে তুলেছেন সিলেট সুনামগঞ্জ বিশাল অট্টালিকা ও সম্পদের পাহাড়।তার অবৈধ সকল সম্পদ তদন্ত করে সরাকারি রাজস্বে জমা করা হোক এমনটাই দাবি করছে সুশীল সমাজ।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

Copyright © Frilix Group
প্রযুক্তি সহায়তায় মাল্টিকেয়ার